জাতীয় গ্রন্থাগার দিবসে প্রধান উপদেষ্টার বাণী
ঢাকা ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫:
প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস ‘জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস’ উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন:
“আজ ৫ ফেব্রুয়ারি দেশব্যাপী ‘জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস-২০২৫’ উদ্যাপন করা হচ্ছে জেনে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। জ্ঞানমনস্ক আলোকিত সমাজ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে গণগ্রন্থাগার এক বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
রাষ্ট্রের বিভিন্ন সেক্টরকে সংস্কার করতে গণগ্রন্থাগারের এক বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। দেশের গণগ্রন্থাগারগুলোর পাঠকদের একটা বড় অংশ তরুণ পাঠক। গ্রন্থাগার সমাজ তথা দেশকে বৈষম্যহীন করে গড়ে তুলতে তরুণ প্রজন্মকে জ্ঞানার্জন, গবেষণা, চেতনা ও মূল্যবোধের বিকাশ, সংস্কৃতি চর্চা ইত্যাদির মাধ্যমে আলোকিত করে। দেশ উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় গ্রন্থাগারের সেবাদান কার্যক্রমও উন্নত থেকে উন্নততর হচ্ছে। আমাদের দেশের গ্রন্থাগারসমূহ তথ্যপ্রযুক্তির ছোঁয়ায় আন্তর্জাতিক মানের গ্রন্থাগারসমূহের মতো উন্নত এবং সমৃদ্ধ হচ্ছে।
.jpg)
গ্রন্থাগার সামাজিক শিক্ষা আন্দোলনের পথিকৃৎ। জুলাই ২০২৪ এর গণ-অভ্যুত্থানে শহিদদের স্মৃতি ধরে রাখতে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে এর সঠিক ইতিহাস জানাতে গণগ্রন্থাগারের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। আর এটি নিশ্চিত করার জন্য মানুষের মধ্যে পাঠাভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। পাঠাভ্যাস গড়ে তুলতে চাই পর্যাপ্ত পাঠোপকরণ। পাঠোপকরণের মধ্যে অন্যতম হলো বই। একটি মানসম্পন্ন বই পারে মানুষের মনোজগৎ জাগ্রত করতে, বেশি বেশি পড়ার আগ্রহ জাগাতে, পারে পাঠাভ্যাস গড়ে তুলতে। আর এই কাজটি সুন্দর ও সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য চাই সমৃদ্ধ গ্রন্থাগার।
নতুন দেশ গড়ার প্রত্যয়কে সামনে রেখে ‘জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস-২০২৫’ এর উদ্যাপন পাঠক সমাজসহ গ্রন্থাগারের সাথে সম্পৃক্ত সকলকে আরো বেশি উজ্জীবিত করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
আমি এ দিবসের সাফল্য কামনা করি।”
.jpg)
জাতীয় গ্রন্থাগার দিবসে রাষ্ট্রপতির বাণী
ঢাকা, ২১ মাঘ (৪ ফেব্রুয়ারি):
রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন ‘জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস’ উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন:
“সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ‘জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস-২০২৫’ উদ্যাপনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই।
একটি জ্ঞানভিত্তিক ও আলোকিত সমাজ গঠনে বই ও গ্রন্থাগারের ভূমিকা অপরিসীম। বই সৃষ্টিশীল চিন্তার বিকাশ ও মনের খোরাক মেটানোর পাশাপাশি জ্ঞানের পরিধি বাড়ায় ও মানবসত্তাকে জাগ্রত করে। অতীত ইতিহাস ও জ্ঞানকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সংরক্ষণের মাধ্যমে গ্রন্থাগার সর্বকালের সভ্যতার মধ্যে সেতুবন্ধ তৈরি করে। গণগ্রন্থাগারে জনসাধারণের অবাধ প্রবেশাধিকার শিক্ষা, সংস্কৃতি, কৃষ্টি ও সামাজিক উন্নয়নেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তথ্যপ্রযুক্তির বৈপ্লবিক অগ্রগতির বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে গ্রন্থাগারের প্রচলিত ধারণায় পরিবর্তন এসেছে। এই পরিবর্তনের সাথে তাল মিলিয়ে অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির পাশাপাশি গ্রন্থাগারকে আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর করে গড়ে তুলতে আমি সংশ্লিষ্ট সকলকে কাজ করার আহ্বান জানাই।
তথ্যের অফুরন্ত ভাণ্ডার গ্রন্থাগার। পাঠক, গবেষক ও তথ্য সংগ্রহকারীদের কাছে গ্রন্থাগারকে আরো আকর্ষণীয় ও কর্মপোযোগী করে গড়ে তুলতে হবে। তরুণ প্রজন্মকে যান্ত্রিকতার রুদ্ধতা থেকে মুক্ত করতে এবং পাঠাভ্যাস গড়ে তুলতে ‘জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস’ পালন ইতিবাচক অবদান রাখবে-এ প্রত্যাশা করি।
আমি ‘জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস-২০২৫’ এর সাফল্য কামনা করি।”