Home Bangla News এক নজরে বাংলাদেশ

এক নজরে বাংলাদেশ

0

মায়ের উপর বড় কোনো শেফ নেই : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

ঢাকা ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ :

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, মায়ের উপর বড় কোনো শেফ নেই। কিন্তু অনেক সময় বিজ্ঞাপনে যখন দেখানো হয় মায়ের রান্নার মতো স্বাদ মায়ের রান্না যখন পণ্য হিসেবে উপস্থাপন করে তখন তা অত্যন্ত দুঃখের বিষয় হয়ে দাঁড়ায়।

          উপদেষ্টা আজ ঢাকায় বনানীর মোস্তফা কামাল আতাতুর্ক পার্কে তারুণ্যের উৎসবের অংশ হিসেবে ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ইন্ডাস্ট্রি স্কিলস কাউন্সিলের আয়োজনে ‘এসো দেশ বদলাই পৃথিবী বদলাই’  শিরোনামে বাংলার ভোজ বাংলাদেশি  ঐতিহ্যবাহী খাবার উৎসব ‘বাংলাদেশ সেফ সম্মেলনে’ প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

          দেশীয় খাবারকে সংস্কৃতির অংশ উল্লেখ করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, ২০২৪ সালের ৫ই আগস্টের পর আমাদের কাছে নতুন বাংলাদেশ এসেছে; আর নতুন দেশে তরুণরা আমাদের পথ দেখিয়েছে। এই তরুণদের সাথে দেশীয় খাবারের পরিচয় করে দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। আগামী প্রজন্ম যদি দেশীয় খাবারের সাথে পরিচিত না হয়; তখন মনে হবে তরুণরা দেশে থেকেও যেন দেশে নেই।

          উপদেষ্টা বলেন, ১লা বৈশাখে পান্তা-ইলিশ  আমাদের সংস্কৃতির অংশ নয়। বৈশাখে ইলিশের ব্যান পিরিয়ড থাকে আর তখন ব্যাপকভাবে ইলিশ খাওয়ার প্রতি আগ্রহ দেখা যায়। আমাদের সংস্কৃতি হলো চৈত্র সংক্রান্তি। এসময় মাছ-মাংস ছাড়া বিভিন্ন রকমের শাক দিয়ে রান্না করা হয় আর এগুলোই বাঙালি সংস্কৃতি।

ট্যুরিজম বোর্ডের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে উপদেষ্টা বলেন, শেফ বলে নারীদের মধ্যে ভেদাভেদ তৈরি করা হচ্ছে। ঘরে রান্না করলে রাধুনি আর ড্রেস পরে রান্না করলে শেফ বলা হয়। এই যে পার্থক্য তা আমাদের দূর করতে হবে। শেফদের শিল্পীর মর্যাদা দানের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, প্রত্যেকটি শেফ একেকজন শিল্পী।

ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ইন্ড্রাস্ট্রি স্কিলস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন হেলালের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী আবু তাহির মুহাম্মদ জাবের। এতে স্বাগত বক্তৃতা করেন ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ইন্ড্রাস্ট্রি স্কিলস কাউন্সিলের সেক্রেটারি জেনারেল শাহিদ হোসেন শামীম।

উপদেষ্টা পরে ঢাকা রিজেন্সি হোটেল অ্যন্ড রিসোর্ট, লে মেরিডিয়ান, প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও, ক্রাউন প্লাজা, ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেল, ওয়েস্টিন, রেডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেন ও সিক্স সিজনস হোটেলের এক্সিকিউটিভ শেফদের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন।

সরকার মব জাস্টিসের পক্ষে নয় : সংস্কৃতি উপদেষ্টা
 
ঢাকা, ২৪ মাঘ (৭ ফেব্রুয়ারি):
 
          সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেছেন, সরকার কোনো ধরনের মব জাস্টিসের পক্ষে নয় এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এ বিষয়ে সতর্ক রয়েছে।
 
          উপদেষ্টা আজ চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েনের সাথে বইমেলার বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে চাইনিজ বুক হাউজের স্টল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
 
          চীনের সাথে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক সহযোগিতার বিষয়ে ফারুকী বলেন, আগামী বছরে অন্তত ১০টি বই অনুবাদ করার পরিকল্পনা রয়েছে। এর মধ্যে পাঁচটি চীনা ক্লাসিক বই বাংলায় এবং পাঁচটি বাংলা ক্লাসিক বই চীনা ভাষায় অনুবাদ হবে। প্রাথমিকভাবে ১০টি বই অনুবাদ করা হলেও ভবিষ্যতে এই সংখ্যা আরো বাড়বে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
 
          চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন জানান, বাংলাদেশি নাগরিকদের চিকিৎসা সেবা দিতে চীন সহযোগিতা করতে আগ্রহী। সম্প্রতি বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টার চীন সফরের সময় এ বিষয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ সমঝোতা হয়েছে। এরই মধ্যে কুনমিং ও ইয়ানমান প্রদেশের তিনটি হাসপাতাল নির্ধারণ করা হয়েছে, যেখানে উন্নত চিকিৎসা সেবা পাওয়া যাবে। তিনি আরো বলেন, পরবর্তী ধাপে বাংলাদেশ সরকার ও ভ্রমণ সংস্থাগুলোর মাধ্যমে চিকিৎসাসেবা গ্রহণের প্যাকেজ চালু করা হবে। আশা করা হচ্ছে, মে-জুনের মধ্যে বাংলাদেশি রোগীরা কুনমিং শহরের তিনটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে পারবেন। এজন্য উভয় দেশ একসঙ্গে কাজ করছে।
 
          সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, আমরা সাহিত্য ছাড়াও সংস্কৃতির আরো অন্যান্য ক্ষেত্রে চীনের সাথে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা কীভাবে বিস্তৃত করা যায় সেটা নিয়ে কাজ করছি এবং অচিরেই একটা আপডেট আপনারা পাবেন যেটি সিনেমাপ্রেমীদের আনন্দিত করবে।

বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও কিরগিজস্তানের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে বৈঠক

তাসখন্দ (উজবেকিস্তান), ৭ ফেব্রুয়ারি:

কিরগিজ রিপাবলিকে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত (তাসখন্দ, উজবেকিস্তানে আবাসিক) ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম আজ কিরগিজ রিপাবলিকের  উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী তেমিরবেক এরকিনভের সাথে তাঁর কার্যালয়ে বৈঠক করেন। বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অগ্রগতি ও ভবিষ্যৎ করণীয় সম্পর্কে আলোচনা হয়।

বাংলাদেশের ও কিরগিজস্তানের মধ্যকার সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় যোগসূত্রের উল্লেখ করে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে বেগবান করতে রাষ্ট্রদূত ড. ইসলাম তিনি দু’দেশের মধ্যে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিনিধি পর্যায়ে সফর বিনিময়ের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। এক্ষেত্রে কূটনৈতিক ও সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য ভিসা ফ্রি ভ্রমণের জন্য প্রস্তাবিত চুক্তিটি সম্পাদনের বিষয়ে তিনি উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

অর্থনৈতিক সহযোগিতাকে বাংলাদেশ-কিরগিজস্তান সম্পর্কের অন্যতম মূলভিত্তি হিসেবে আখ্যায়িত করে রাষ্ট্রদূত ড. ইসলাম এ সহযোগিতাকে আরো ফলপ্রসূ করার লক্ষ্যে দু’দেশের মধ্যে সরকারি পর্যায়ের যৌথ অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক কমিশন গঠনের প্রয়োজনীয়তার ওপর আলোকপাত করেন। ব্যবসায়িক সহযোগিতা ও আদান-প্রদানকে আরো সহজ ও সাবলীল করার উদ্দেশ্যে দু’দেশের চেম্বার এন্ড কমার্সের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের ব্যাপারে রাষ্ট্রদূত ইতিবাচক মতামত ব্যক্ত করেন। বাংলাদেশ ও কিরগিজস্তানের মধ্যকার বিদ্যমান শিক্ষা সহযোগিতাকে সম্প্রসারণের লক্ষ্যে তিনি কিরগিজস্তানে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা বিধানের পাশাপাশি তাদের ভিসা ও অন্যান্য কনস্যুলার সেবাকে ত্বরান্বিত করার জন্য উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সহযোগিতা কামনা করেন।

উপ পররাষ্ট্রমন্ত্রী তেমিরবেক এরকিনভ দু-দেশের সম্পর্কের অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করে এ বছরে দু’পক্ষের সুবিধাজনক সময়ে কিরগিজস্তানের রাজধানী বিসকেকে ফরেন অফিস কনসাল্টেশন আয়োজনের ব্যাপারে তাঁর অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন। অর্থনৈতিক সহযোগিতাকে আরো গতিশীল করার প্রয়াসে রাষ্ট্রদূতের প্রস্তাবনাসমূহকে স্বাগত জানিয়ে ট্যাক্সেশন, বিনিয়োগ ও পর্যটন খাতে প্রস্তাবিত চুক্তি/সমঝোতা স্মারকসমূহ দ্রুততার সাথে সম্পাদনের ওপর জোর তাগিদ প্রদান করেন। কিরগিজস্তানে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থী এবং বিভিন্ন প্রজেক্টে নিয়োজিত কর্মীদের নিরাপত্তা ও কল্যাণ নিশ্চিতকরণে তিনি তাঁর সরকারের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।

একই দিন রাষ্ট্রদূত ড. ইসলাম কিরগিজস্তানের নেতৃস্থানীয় ব্যবসায়ী ব্যক্তিগর্গের সাথে এক বৈঠকে মিলিত হন। যেখানে তিনি বস্ত্র, তৈরি পোশাক ও ঔষধ-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দু’দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য ও সহযোগিতার অপার সম্ভাবনা রয়েছে বলে উল্লেখ করেন। কিরগিজস্তানের একটি ব্যবসায়িক প্রতিনিধিদলকে তিনি সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।

বাক ও প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীকে মানবসম্পদে পরিণত করতে হবে : সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা

ঢাকা, ২৪ মাঘ (৭ ফেব্রুয়ারি) :          

সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেছেন, দেশের বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর মৌলিক ও সামাজিক অধিকার নিশ্চিতকরণ, তাদের উন্নয়ন ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করে এ দেশের মানবসম্পদে পরিণত করতে হবে। তিনি বলেন, তাদের গুণাবলি লালন করে ও মেধাকে কাজে লাগিয়ে প্রতিটি সম্ভাবনা, প্রতিটি কাজের মধ্যে দিয়ে তাদেরকে জাগ্রত করতে হবে ।

উপদেষ্টা আজ আগারগাঁও জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন প্রাঙ্গণে ‘বাংলা ইশারা ভাষা দিবস ২০২৫’ উদ্‌যাপন উপলক্ষ্যে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় ও জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর দারিদ্র্যতা নিরসন ও জীবনমান উন্নয়নে নতুনভাবে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ এখন সময়ের দাবি উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, শ্রবণ ও বাক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের উপযোগী চিকিৎসা, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ প্রদান করে লক্ষ্যভিত্তিক পরিকল্পিত কার্যক্রম গ্রহণ জরুরি। এখন পর্যন্ত এদেশে ৩৫ লক্ষাধিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে সনাক্ত করা হয়েছে। তার মধ্যে
বাক প্রতিবন্ধী ব্যক্তির সংখ্যা ১ লাখ ৮১ হাজার ৮৪৮ জন এবং শ্রবণ প্রতিবন্ধী ব্যক্তির সংখ্যা ১ লাখ ১২ হাজার ৬২৬ জন।

এস মুরশিদ বলেন, একটি সুন্দর ভবিষ্যতের লক্ষ্যে বর্তমান সরকার প্রতিবন্ধী ছাত্র-ছাত্রীদের বিদ্যমান শিক্ষা ব্যবস্থাকে আরো সম্প্রসারণ করার উদ্যোগ নিয়েছে। শ্রবণ প্রতিবন্ধী ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থানের জন্য সারা দেশের ৭টি সরকারি বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় পরিচালিত হচ্ছে। জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন এদেশের বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠী-সহ সকল ধরনের প্রতিবন্ধী জনগণের জন্য চিকিৎসা সেবা, শিক্ষা কার্যক্রম, অনুদান প্রদান, কর্মসংস্থান সহায়ক উপকরণ বিতরণ, প্রশিক্ষণ, আবাসন সুবিধা, উন্নয়ন মেলা ইত্যাদি কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এতে করে এদেশের প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা নিজেদের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে নিজেদেরকে উৎপাদনশীল কাজে সম্পৃক্ত করে আত্মনির্ভরশীলতার মাধ্যমে জীবনমান উন্নয়ন করছেন।

অনুষ্ঠানে ঢাকা সরকারি বধির স্কুলের ১০ শ্রেণির ছাত্র শামীম, চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী হিমু আক্তার উপযোগী কর্মমুখী প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার দাবি জানান এবং তাদের অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন।

অনুষ্ঠানে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোঃ মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তৃতা করেন জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিজয় কৃষ্ণ দেবনাথ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এসডিএসএল’র সদস্য
মোঃ মামুনুর রশিদ ইফতি। এ সময় জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের ও বিশেষ শিক্ষা কেন্দ্রের কর্মকর্তা কর্মচারী, শিক্ষকমণ্ডলী, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের উন্নয়ন সহযোগী সংগঠনের প্রতিনিধিবৃন্দ, বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী ছাত্র-ছাত্রীরা উপস্থিত ছিলেন।

পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের বেসিক ফাউন্ডেশন গড়ে তোলা জরুরি :পার্বত্য উপদেষ্টা

ঢাকা, ২৪ মাঘ (৭ ফেব্রুয়ারি):

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেছেন, পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের কোয়ালিটি এডুকেশন ও লাইভলিহুড ডেভেলপমেন্ট দরকার। তাই পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের বেসিক ফাউন্ডেশন গড়ে তোলা জরুরি।

আজ রাঙ্গামাটি সদরের বালুখালি ইউনিয়নের জারুলছড়ি পাড়ার রাঙ্গা বেইজ ক্যাম্পে ঢাকা ইউনিভার্সিটি হিল এলামনাই এসোসিয়েশন ২০২৫ উদ্‌যাপন অনুষ্ঠানে পার্বত্য উপদেষ্টা এ মন্তব্য করেন।

উপদেষ্টা বলেন, আগে আমাদের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হতে হবে। আমাদের ধর্মীয়, সামাজিক, চ্যারিটির বিষয়গুলো বাড়ি থেকেই শিখতে হয়। এর ফল আমরা দেখতে পাই ৩৬ জুলাই আন্দোলনে। সমাজের জন্য, রাষ্ট্রের জন্য আমাদের কাজ করতে হবে। উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিই হলো আমাদের চিন্তা, চেতনা ও স্বপ্ন। আমাদের পিছিয়ে থাকলে চলবে না। আমাদের পাইওনিয়ার হতে হবে।

এলামনাই প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪৫ বছর আগে পড়াশুনা করেছি এই পরিচয়েই রাঙামাটির এলামনাই অনুষ্ঠানে এসেছি। তিনি বলেন, ৩৬ জুলাই আন্দোলনে ঢাকা ইউনিভার্সিটির‌ অনেক ছাত্রছাত্রী নিহত ও আহত হয়েছে। তিনি ঢাকা ইউনিভার্সিটি হিল এলামনাই এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে আহতদের চিকিৎসার জন্য অর্থ যোগানোর উদ্যোক্তাদের ধন্যবাদ জানান।

পরে উপদেষ্টা পার্বত্য চট্টগ্রামের স্থানীয় শিল্পীদের পরিবেশিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা, চাকমা চিফ রাজা দেবাশীষ রয়, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় উপদেষ্টা মন্ডলীয় কমিটির সদস্য রাজা সাচিং প্রু চৌধুরী, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার মং সার্কেল মং রাজা কঙ্কন চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মিজাউল করিম, রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা শুভাশিস চাকমা, উপদেষ্টার সহকারী একান্ত সচিব ও ঢাকা ইউনিভার্সিটি হিল এলামনাই এসোসিয়েশন আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব কীর্তি নিশান চাকমা এবং আয়োজক কমিটির যুগ্ম সদস্য সচিব অছ্য কুমার তঞ্চঙ্গা।

জুলাই-আগস্টে গণ-অভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিদের ব্যয়িত চিকিৎসার খরচ প্রদান প্রসঙ্গে

ঢাকা, ২৪ মাঘ (৭ ফেব্রুয়ারি):

জুলাই-আগস্ট ২০২৪ গণ-অভ্যুত্থানে আহত ছাত্র-জনতা যারা ইতোপূর্বে বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করেছেন তাদের আবেদন ও বিল গণ-অভ্যুত্থান সংক্রান্ত বিশেষ সেল অথবা সংশ্লিষ্ট জেলার সিভিল সার্জন কার্যালয়ে দাখিল করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। আবেদন ফরম গণ-অভ্যুত্থান সংক্রান্ত বিশেষ সেলের ওয়েবসাইট www.musc.portal.gov.bd-এ পাওয়া যাবে।

গত ৯ জানুয়ারি স্বাস্থ্যসেবা বিভাগে অনুষ্ঠিত জুলাই-আগস্ট ২০২৪ গণ-অভ্যুত্থানে আহত ছাত্র-জনতার চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য কার্ড বিতরণ সংক্রান্ত সভায় ইতোপূর্বে বেসরকারি হাসপাতালে যারা চিকিৎসা গ্রহণ করেছেন, তাদের আবেদন ও বিল গণ-অভ্যুত্থান সংক্রান্ত বিশেষ সেলে অথবা সংশ্লিষ্ট জেলার সিভিল সার্জন কার্যালয়ে দাখিল করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সেলে প্রাপ্ত বিলসমূহ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর প্রয়োজনীয় যাচাই-বাছাই করে পুনরায় গণ-অভ্যুত্থান সংক্রান্ত বিশেষ সেলে প্রেরণ করতে হবে এবং সিভিল সার্জন অফিসে প্রাপ্ত বিল সিভিল সার্জন যাচাই-বাছাই শেষে সেলে প্রেরণ করবেন। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার আলোকে এ সেল দাবিকৃত অর্থ পরিশোধের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে মর্মে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। 

গণ-অভ্যুত্থান সংক্রান্ত বিশেষ সেলের দলনেতা (যুগ্মসচিব) মোঃ মশিউর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আজ এ তথ্য জানানো হয়েছে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বার্ষিক বোটানিক্যাল কনফারেন্স

বোটানিক্যাল গার্ডেনগুলোকে প্রকৃতি সংরক্ষণস্থল হিসেবে গড়ে তোলা হবে : পরিবেশ উপদেষ্টা

ঢাকা, ২৪ মাঘ (৭ ফেব্রুয়ারি):

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, বোটানিক্যাল গার্ডেন শুধু বিনোদনের স্থান নয়, এটি প্রকৃতি সংরক্ষণের গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রও। এসব উদ্যানকে প্রকৃতির সংরক্ষণস্থল হিসেবে গড়ে তুলতে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে।  

উপদেষ্টা আজ ঢাকায় তাঁর বাসভবন হতে ভার্চুয়ালি সাভারে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বার্ষিক বোটানিক্যাল কনফারেন্সের উদ্বোধন অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। 

উপদেষ্টা বলেন, দেশের পাহাড়ি ও উপকূলীয় বনসহ বিপন্ন বনাঞ্চল রক্ষায় সরকার কাজ করছে। বন সংরক্ষণে ট্যুরিজম নিয়ন্ত্রণের চেষ্টায় নানা প্রতিবন্ধকতা তৈরি হচ্ছে। অবৈধ দখলমুক্ত করে পুনরায় বনায়ন করতে হবে। কোনো উন্নয়ন প্রকল্পের কারণে বন উজাড় হলে বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে সাথে সাথে পুনরায় বৃক্ষরোপণ নিশ্চিত করা হবে। নগরায়ণের প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, ঢাকাসহ দেশের নগর এলাকায় সবুজায়ন ও আরবান ফরেস্ট্রি প্রসারে পরিকল্পিত উদ্যোগ নেওয়া জরুরি। সংবিধানে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের অঙ্গীকার করা হয়েছে, তা বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। 

রিজওয়ানা হাসান বলেন, শালবন পুনরুদ্ধারে একটি মহাপরিকল্পনা গ্রহণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শুধু দেশীয় গাছ রোপণ করলেই হবে না, এগুলো টিকিয়ে রাখার ব্যবস্থাও করতে হবে। সামাজিক বনায়নের মাধ্যমে প্রাকৃতিক বন পুরোপুরি ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়। তাই কোনো বনায়ন প্রকল্পের কারণে প্রাকৃতিক বন ধ্বংস করা যাবে না।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশের প্রশংসা করে উপদেষ্টা বলেন, এ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবাদীদের উত্থানের অন্যতম কারণ এখানকার প্রকৃতিবান্ধব পরিবেশ। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়েও এ ধরনের প্রাকৃতিক পরিবেশ গড়ে তোলা প্রয়োজন।

বাংলাদেশ বোটানিক্যাল সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক ড. এম আজিজুর রহমানের সভাপতিত্বে কনফারেন্সে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান,
প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর (একাডেমিক) প্রফেসর ড. এম মাহফুজুর রহমান, প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর (প্রশাসন) প্রফেসর ড. সোহেল আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. এম আব্দুর রব এবং বিজ্ঞান অনুষদের বিশিষ্ট অধ্যাপকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here