Tobacco industry leaders voice serious concern over interim budget measures

Tensions mount as negative impacts on employment, foreign investment, and industry sustainability anticipated

Dhaka, February 13, 2025:

Managing Directors (MDs) of the three major players in the cigarette manufacturing sector have expressed deep concern over the recent fiscal policy revisions, particularly the significant increase in supplementary duties (SD) on the cigarette industry.

Monisha Abraham, MD, BAT Bangladesh; Mt. Paul Holloway, MD, JTI Bangladesh; and Reza-ur-Rahman Mahmud, MD, Philip Morris Bangladesh stated that they “feel compelled to publicly express concerns” regarding the revised tax measures, as they expect serious implications that threaten the business sustainability in the country.

“While we fully recognise and support the Government’s need to increase internal revenue, we strongly believe that the recent policy changes will have serious long-term consequences for the industry sustainability, the economy, and the livelihoods of millions who depend on it.” they said in a statement.

A recent Oxford Economics report highlights that in FY 2022-23, the cigarette industry contributed BDT 346.4 billion in tax receipts, accounting for 11.6% of Bangladesh’s tax revenues, which is almost 10 times higher than the global average of tobacco tax accounting for 1% of nation’s tax revenues. It also noted that the largest FDI inflow in 50 years occurred when Japan Tobacco International acquired Dhaka Tobacco Industries for approximately USD 1.5 billion. The report further mentioned the societal contribution the industry made locally, supporting an estimated 1.6 million jobs in Bangladesh.

Industry leaders raised their voice that the tobacco industry has become one of the country’s highest revenue-generating sectors that has aided the economy in times of crises, providing a double-digit growth in revenue year-on-year. In 2023-24 fiscal year alone, the industry contributed approximately Tk 40,000 crore in revenue, 16 per cent up from the previous year’s contribution.

In the last decade, the tax rates in the tobacco sector have increased substantially in Bangladesh, from 66% of the retail price in 2014 to 77% in 2024. Within six months since the last tax increase by the Government, the National Board of Revenue (NBR) has increased the tobacco tax rate to even higher 83% of the retail price for the whole market this January. This change was announced and implemented without any formal industry consultation. The industry predicts that the latest tax hike will lead to a decline in volume and margin of the legitimate industry – adversely impacting the livelihoods of 4.4 million people across the value chain, including over 150,000 farmers, 1.3 million retailers and labourers in the country.

In addition to the tobacco tax increase, the cigarette industry in Bangladesh pays another 47.5 per cent corporate tax, which is one of the highest in the world. The three tobacco industry leaders make up approximately 90 per cent of the total industry in terms of revenue contribution in Bangladesh.

The three MDs further expressed their disappointment with the lack of consultation and abrupt policy change. They said, “Despite having the largest and one of the oldest Foreign Direct Investment (FDI) in this sector, the industry was blindsided with the latest policy change, which creates a perception of policy inconsistency and ultimately impacts both domestic and international investor confidence in a negative way.”

The MDs have urged the government to reverse recent SD increases, develop a long-term fiscal roadmap to prevent further shocks for the industry, and ensure meaningful stakeholder consultation to craft sustainable policies.

“We do believe there is a way to embed a long-term fiscal policy for this sector that will continue to protect the Government revenue, local job opportunities, and FDIs to contribute to the economic growth of the country.  At the same time, we advocate a sensible fiscal policy that does not put excessive burden to the consumers, which would enable tax and price increases in line with what consumers can afford. We stand ready to continue working with the government to find future-fit solutions that ensure sustainable revenue generation as well as industry sustainability,” they said.

সিগারেট খাতে উল্লেখযোগ্য সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ শীর্ষস্থানীয় তিন প্রতিষ্ঠানের

ঢাকা ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ :

সাম্প্রতিক সময়ে শুল্ক ও কর নীতির সংশোধন, বিশেষ করে সিগারেট খাতে উল্লেখযোগ্য সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সিগারেট উৎপাদন খাতের শীর্ষস্থানীয় তিন প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালকগণ।

 পরিবর্তিত শুল্ক ও কর নীতির কারণে দেশে টেকসই উপায়ে ব্যবসা পরিচালনা কার্যক্রম হুমকির মুখে পড়বে বলে মত প্রকাশ করেছেনবিএটি বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনীষা আব্রাহাম, জেটিআই বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাউন্ট পল হলওয়ে ও ফিলিপ মরিস বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রেজা-উর-রহমান মাহমুদ। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সংশোধিত শুল্ক ও কর নীতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশকে সমীচীন মনে করছেন তারা। 

এক বিবৃতিতে ব্যবস্থাপনা পরিচালকগণ জানিয়েছেন,“দেশের অভ্যন্তরীণ রাজস্ব বৃদ্ধির প্রয়োজন রয়েছে এবং এক্ষেত্রে পদক্ষেপ গ্রহণে সরকারের প্রতি আমাদের পূর্ণ সমর্থনও রয়েছে; তবে, একইসাথে আমরা বিশ্বাস করি, শুল্ক ও কর নিয়ে সাম্প্রতিক নীতিগত পরিবর্তন এ শিল্পখাত, সামগ্রিকভাবে অর্থনীতি এবং এ খাতের ওপর নির্ভরশীল লাখো মানুষের জীবিকায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।”

সম্প্রতি, অক্সফোর্ড ইকোনমিকসের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ২০২২-২৩ অর্থবছরে জাতীয় রাজস্বে মোট ৩৪৬.৪ বিলিয়ন টাকা কর হিসেবে প্রদান করে অবদান রেখেছে সিগারেট খাত, যা দেশের মোট কর রাজস্বের ১১.৬ শতাংশ।

 যেখানে বৈশ্বিকভাবে সাধারণত একটি দেশের মোট কর রাজস্বের মাত্র ১ শতাংশ তামাক খাত থেকে আসে, সেখানে আমাদের ক্ষেত্রে তা ১০ গুণ বেশি। উল্লেখ্য যে, দেশের গত ৫০ বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের প্রবাহ ঘটে যখন জাপান টোব্যাকো ইন্টারন্যাশনাল ঢাকা টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রিজকে ১.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে অধিগ্রহণ করে।

 এছাড়া, প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশে প্রায় ১৬ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করেছে সিগারেট শিল্পখাত।

এ শিল্পখাতের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিরা সিগারেট খাতের অবদানের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, “তামাক খাত দেশের অন্যতম প্রধান রাজস্ব-উৎপাদনকারী খাত। দেশের সংকটকালীন সময় দেশের অর্থনীতিতে এ খাত উল্লেখযোগ্য অবদান রাখার পাশাপাশি বছর প্রতি দ্বিগুণ অঙ্কের রাজস্ব প্রবৃদ্ধি অর্জন করে ভূমিকা রেখে চলেছে। শুধুমাত্র ২০২৩-২৪ অর্থবছরেই, দেশের রাজস্বে এ শিল্পখাতের অবদান প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা, যা আগের বছরের তুলনায় ১৬ শতাংশ বেশি। 

গত এক দশকে, বাংলাদেশে তামাক খাতের কর হার উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে২০১৪ সালে খুচরা মূল্যের ওপর ৬৬ শতাংশ থেকে ২০২৪ সালে ৭৭ শতাংশে কর হার উন্নীত করা হয়েছিল। সর্বশেষ কর বৃদ্ধির মাত্র ছয় মাসের মধ্যেই জাতীয় রাজস্ব বোর্ড জানুয়ারি ২০২৫-এ খুচরা মূল্যে ৮৩ শতাংশ কর হার নির্ধারণ করেছে।

 শিল্পখাতের অংশীজনদের সাথে আনুষ্ঠানিক কোন পরামর্শ ছাড়াই সংশোধিত এই নীতি ঘোষণা ও বাস্তবায়ন করা হয়েছে। সিগারেট শিল্পখাত সংশ্লিষ্টদের মতে, নতুন করনীতির কারণে বৈধ শিল্পখাতের বিক্রয় ও মুনাফার পরিমাণ হ্রাস পাবে, যা এ খাতের ভ্যালু চেইনের সাথে সম্পৃক্ত ৪৪ লাখ মানুষের জীবিকার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে, যার মধ্যে রয়েছেন দেড় লাখের বেশি কৃষক এবং ১৩ লাখ খুচরা বিক্রেতা ও শ্রমিক।

এছাড়াও, সিগারেট খাত ৪৭.৫ শতাংশ কর্পোরেট কর প্রদান করে, যা বিশ্বের মধ্যে অন্যতম সর্বোচ্চ কর হার। উল্লেখ্য, শীর্ষস্থানীয় এ তিন প্রধান তামাক প্রতিষ্ঠান সিগারেট খাতের সরকারি রাজস্বে প্রায় ৯০ শতাংশ অবদান রাখে।

ব্যবস্থাপনা পরিচালকগণ অংশীজনদের সাথে কোন পরামর্শ ছাড়াই নীতি পরিবর্তন ও হঠাৎ কর বৃদ্ধি নিয়ে হতাশা ব্যক্ত করেছেন। তারা বলেন, “সবচেয়ে বড় এবং অন্যতম পুরনো প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগ এ খাতে হওয়া সত্ত্বেও সাম্প্রতিক নীতিগত পরিবর্তনের ফলে এ শিল্পখাতের প্রবৃদ্ধি রুদ্ধ করে ফেলা হয়েছে। এর ফলে, ব্যবসায়িক খাতে নীতিগত অসঙ্গতি তৈরি হবে, যা শেষ পর্যন্ত দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আস্থা ও আত্মবিশ্বাসে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।”

ব্যবস্থাপনা পরিচালকগণ কর বৃদ্ধির এ সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। একইসাথে, তারা এ খাতকে আরও বিভিন্ন শঙ্কা থেকে রক্ষায় দীর্ঘমেয়াদি অর্থনৈতিক রোডম্যাপ নিয়ে আসা এবং টেকসই নীতি প্রণয়নে অংশীজনদের সাথে অর্থপূর্ণ আলোচনা নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্ব দেন।

তারা বলেন,“আমরা আশা করি, এ খাতের জন্য দীর্ঘমেয়াদী আর্থিক নীতি প্রণয়নের একটি উপায় বের করা হবে, যা দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখার ক্ষেত্রে সরকারের রাজস্ব, স্থানীয় কর্মসংস্থানের সুযোগ ও সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগকে (এফডিআই) সুরক্ষিত রাখবে। একইসাথে, আমরা ভোক্তাদের ওপর অতিরিক্ত বোঝা তৈরি করবে না এমন একটি বিচক্ষণ আর্থিক নীতি নিয়ে আসতে পরামর্শ দিচ্ছি; যা কর ও দাম বৃদ্ধিকে একই পর্যায়ে রাখতে সক্ষম হবে, যেন তা ভোক্তাদের জন্য বহন করা সম্ভব হয়।

 রাজস্ব আদায় ও এই খাত, দুটিকেই টেকসই করতে পারবে এমন ভবিষ্যৎমুখী সমাধান নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে আমরা সরকারের সাথে কাজ করতে আগ্রহী।