গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪র্থ সমাবর্তন অনুষ্ঠিত
সাভার (ঢাকা), ১১ ফাল্গুন (২৪ ফেব্রুয়ারি):
সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ আজ সাভারে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ সমাবর্তন অনুষ্ঠানের উদ্বোধন ঘোষণা করেন। এ সময় তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধ-সহ সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলন এবং
জুলাই ২০২৪-এর গণঅভ্যুত্থানের শহিদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান ও তাদের সম্মানে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় উপদেষ্টা বলেন, গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন অনুষ্ঠানে তোমরা যারা আজ ডিগ্রিপ্রাপ্ত হয়েছো তোমরা এক একটি হীরক খণ্ড। তোমাদের ভুলে গেলে চলবে না, ডায়মন্ড এবং কয়লা উভয়ই কার্বন হতে তৈরি । পার্থক্য হলো হীরার অণুতে কার্বনসমূহ সুশৃঙ্খলভাবে, আর কয়লার অণুতে কার্বনসমূহ বিশৃঙ্খল ভাবে থাকে। তেমনি শৃঙ্খলা, সুদীর্ঘ সময় আর কঠিন অধ্যবসায় এই তিনের সমাহার ঘটলেই সফলতা অবশ্যাম্ভাবী। তিনি বলেন, তোমরা যেখানেই কাজ করো না কেন, দেশ ও জাতির পক্ষ থেকে তোমাদের দায়িত্ব অনেক।
শারমীন এস মুরশিদ বলেন, জুলাই ২০২৪-এর গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয় আমরা এক নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। ছাত্র-জনতার এই অভ্যুত্থান শুধু একটি আন্দোলন নয় বরং সাম্য মানবিক মর্যাদা এবং সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার অধিকার আদায়ের জন্য বাংলাদেশের মানুষের অদম্য ইচ্ছা শক্তির এক জলন্ত উদাহরণ। তিনি বলেন, সমাজ ব্যবস্থার উন্নয়নে তোমরা যারা আজ তরুণ প্রজন্ম, আগামী দিনে তোমাদেরকে আরেকটি যুদ্ধ করতে হবে। এ দেশকে একটি শোষণহীন, বৈষম্যহীন ও গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থার রাষ্ট্র গঠনে কাজ করতে হবে।
উপদেষ্টা আরো বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে শিক্ষা ব্যবস্থা সামগ্রিকভাবে একটা নাজুক অবস্থা অতিক্রম করছে। রাজনৈতিক দলাদলি, পারস্পরিক সহনশীলতার অভাব, লেজুরভিত্তিক ছাত্র রাজনীতি প্রভৃতি অপসংস্কৃতি ও অপতৎপরতা পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ আকারে দাঁড়িয়েছে। এসব পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য নির্বাচিত ছাত্র সংসদ দ্বারা ছাত্রদের নেতৃত্ব বিকাশের উদ্যোগ জরুরি। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ সুশৃঙ্খল হতে হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
গণ বিশ্ববিদ্যায়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আবুল হোসেন, ট্রাস্টি বোর্ডের সম্মানিত ট্রাস্টি ও সমাবর্তন বক্তা ডা. আবুল কাশেম চৌধুরী, রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মোঃ ওহিদুজ্জামান, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য প্রফেসর মোঃ তানজীমউদ্দিন খান এবং গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতি ওয়ালিউল ইসলাম অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন।
আইনশৃঙ্খলার উন্নয়নে অপারেশন আরো জোরদার করা হচ্ছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ঢাকা, ১১ ফাল্গুন (২৪ ফেব্রুয়ারি):
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে আজ সন্ধ্যার পর থেকে অপারেশন আরো জোরদার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.)।
উপদেষ্টা আজ বাংলাদেশ সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট বাহিনীগুলো নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সন্ধ্যার পর থেকে অপারেশন আরো জোরদার করা হবে। অপরাধপ্রবণ এলাকাগুলোতে আরো টহল বাড়ানো হবে, চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি করা হবে।
জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আজকের সভায় আইনশৃঙ্খলার সার্বিক পরিস্থিতি উন্নয়ন বিষয়ে কথা হয়েছে এবং এ সংক্রান্ত বাহিনীগুলোকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, স্বাধীনতার এই ৫৩ বছরে আমাদের কোনো সাংবাদিক লেখেননি যে আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি খুবই ভালো। তবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সন্তোষজনক। তা আরো উন্নতি করার অবকাশ রয়েছে৷
উপদেষ্টা বলেন, বনশ্রীর ঘটনাটি দুঃখজনক। আগে এ ধরনের ঘটনা জানতে দুই দিনও সময় লেগে যেতো। তথ্যপ্রযুক্তির কল্যাণে এখন মানুষ সাথে সাথে এটি জেনে যাচ্ছে। এরকম ছোটখাটো ঘটনা আগেও ঘটেছে৷ তবে ভবিষ্যতে যাতে আর না ঘটে সে বিষয়ে করণীয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা চাইনা এ ধরনের ঘটনা আর ঘটুক৷
অপারেশন ডেভিল হান্ট চলা অবস্থায় এমন পরিস্থিতি কেন জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, ডেভিল হান্ট অপারেশন চালু করা হয়েছে যাতে এই ধরনের ঘটনা ঘটলে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া যায়। তিনি বলেন, রাজশাহীর ঘটনায় সাথে সাথে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷ যেসব ওসিরা মামলা নিতে গড়িমসি করেছে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে, বরখাস্তও করা হয়েছে। অন্য সময় হলে এটা কিন্তু হতো না৷ তিনি আরো বলেন, সাংবাদিকদের অনুসন্ধানী রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে পুলিশের অনেক সিনিয়র অফিসারকে ক্লোজ করা হয়েছে৷
সাংবাদিকদের অনুরোধ জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, আপনারা সত্য ঘটনা প্রকাশ করুন। অতীতে বিদেশি মিডিয়া যখন আমাদের নিয়ে অপপ্রচার চালিয়েছে তখন আপনারা সত্য ঘটনা প্রকাশ করে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করেছেন৷
প্রাথমিক বিদ্যালয় গোল্ডকাপ ফুটবলের ফাইনাল আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি
ঢাকা, ১১ ফাল্গুন (২৪ ফেব্রুয়ারি):
প্রাথমিক বিদ্যালয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৪ এর জাতীয় পর্যায়ের খেলায় ফাইনালে উন্নীত হয়েছে চারটি দল। বালিকা ও বালক শাখায় দু’টি করে দল। বালিকা বিভাগের দলগুলো হলো- পাবনা জেলার সাঁথিয়া উপজেলার জোড়গাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার বাঞ্ছারামপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। বালক বিভাগের দলগুলো হলো-সুনামগঞ্জ সদরের ইছাঘরি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কক্সবাজার জেলার কুতুবদিয়া উপজেলার কৈয়ারবিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ঢাকায় জাতীয় স্টেডিয়ামে বালক-বালিকা দলের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হবে।
আগামীকাল ২৫ ফেব্রুয়ারি তৃতীয় স্থান নির্ধারণী খেলায় বালিকা বিভাগে ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলার দোহারো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও পঞ্চগড় জেলার দেবিগঞ্জ উপজেলার টেপ্রীগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং বালক বিভাগে খুলনা জেলার কয়রা উপজেলার দেয়াড়া আন্তা বুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও টাঙ্গাইল। জেলার ভুঞাপুর উপজেলার মাটিকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে।
প্রাথমিক বিদ্যালয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৪ এর জাতীয় পর্যায়ের খেলা ২২ ফেব্রুয়ারি ঢাকার মিরপুর ২ নম্বরে ন্যাশনাল বাংলা উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে শুরু হয়। দেশের ৮টি বিভাগের চ্যাম্পিয়ন ৮টি বালক ও ৮টি বালিকা দল জাতীয় পর্যায়ের খেলায় অংশ নেয়। সেখান থেকে বালক-বালিকা গ্রুপের আটটি দল আজ সেমিফাইনালে অংশ নেয়।
বালিকাদের প্রথম সেমিফাইনালে পাবনা জেলার সাঁথিয়া উপজেলার জোড়গাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ২-১ গোলে ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলার দোহারো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে এবং দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার বাঞ্ছারামপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ২-১ গোলে পঞ্চগড় জেলার দেবিগঞ্জ উপজেলার টেপ্রীগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে হারিয়ে ফাইনালে উত্তীর্ণ হয়।
বালক বিভাগের প্রথম সেমিফাইনালে সুনামগঞ্জ সদরের ইছাঘরি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ২-০ গোলে খুলনা জেলার কয়রা উপজেলার দোয়ারা আন্তাবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে এবং দ্বিতীয় সেমিফাইনালে কক্সবাজার জেলার কুতুবদিয়া উপজেলার কৈয়ারবিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় টাইব্রেকারে ৪-২ গোলে টাঙ্গাইল জেলার ভুঞাপুর উপজেলার মাটিকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে হারিয়ে ফাইনালে উত্তীর্ণ হয়। নির্ধারিত সময়ে খেলা ১-১ গোলে অমীমাংসিত ছিল।
উল্লেখ্য দেশের ৬৫ হাজার ৩৫৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বালক-বালিকা দল এ টুর্নামেন্ট অংশ নেয়।
সংকটাপন্ন নদী পুনরুদ্ধারের পদক্ষেপ গ্রহণে পরিবেশ ও পানি সম্পদ উপদেষ্টার আহ্বান
ঢাকা, ১১ ফাল্গুন (২৪ ফেব্রুয়ারি):
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বাংলাদেশের সংকটাপন্ন নদীগুলো পুনরুদ্ধারে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে পদক্ষেপ গ্রহণ করার আহ্বান জানিয়েছেন। চলমান উদ্যোগ সম্পর্কে আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি আন্তর্জাতিক ও দ্বিপাক্ষিক উন্নয়ন অংশীদারদের সাথে আলোচনার কথা উল্লেখ করেন এবং বুড়িগঙ্গা নদী পুনরুদ্ধারে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) আগ্রহের কথা জানান। তিনি বলেন, নদীগুলো পুনরুদ্ধার কঠিন, তবে সম্ভব এবং এটি আজই শুরু করতে হবে।
আজ রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে পানি ও বন্যা ব্যবস্থাপনা বিষয়ক আন্তর্জাতিক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশ উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। তিনি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে পানি ও পরিবেশ সংরক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
উপদেষ্টা নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের মধ্যকার বড় ব্যবধানের কথা তুলে ধরে বলেন, মূল চ্যালেঞ্জ হলো বাস্তবায়ন প্রতিশ্রুতির অভাব। ঢাকা সাতটি নদী দ্বারা পরিবেষ্টিত হলেও এখানে পানি সংকট তীব্র। মানুষ তাৎক্ষণিক সমাধান আশা করে-আজ বিশুদ্ধ বাতাস, আগামীকাল পরিষ্কার নদী। কিন্তু বছরের পর বছর অবহেলিত ও ধ্বংসপ্রাপ্ত পরিবেশ একদিনে পুনরুদ্ধার সম্ভব নয় বলে উপদেষ্টা উল্লেখ করেন।
উপদেষ্টা জানান, অতিরিক্ত পানি উত্তোলনের কারণে নদীগুলো তাদের স্বাভাবিক প্রবাহ হারাচ্ছে। যেসব নদী একসময় সাগরে মিলিত হতো, সেগুলো এখন শুকিয়ে যাচ্ছে। এগুলো শিল্প বর্জ্যের নর্দমায় পরিণত হয়েছে। আমাদের অবশ্যই এই পরিস্থিতির পরিবর্তন করতে হবে।
সীমান্তবর্তী পানি ভাগাভাগির বিষয়ে তিনি কৌশলগত প্রস্তুতির ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি জানান বাংলাদেশ ইউরোপীয় কনভেনশন অন শেয়ারড লেকস অ্যান্ড রিভার্স অনুসমর্থনের চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে, যা আন্তর্জাতিক পানি আলোচনা শক্তিশালী করবে।
বন্যা ব্যবস্থাপনায়, উপদেষ্টা বাংলাদেশের জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থান সম্পর্কে বলেন, নদীর নাব্যতা বৃদ্ধি, বন্যা প্রতিরোধ ও জনগণের প্রস্তুতির জন্য বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। আমাদের আগাম সতর্কতা ব্যবস্থা আরও কার্যকর হতে হবে এবং জনগণের ভাষায় তথ্য পৌঁছাতে হবে।
রিজওয়ানা হাসান অতিরিক্ত বন্যাকে স্বাভাবিক হিসেবে দেখার প্রবণতার বিরোধিতা করে কৃষি, মৎস্য, নৌপরিবহন ও পানীয় জলের সুরক্ষায় বাজেট বরাদ্দ বাড়ানোর আহ্বান জানান। আমাদের জনগণ দৃঢ়, কিন্তু শুধু দৃঢ়তা যথেষ্ট নয়। বৈশ্বিক সম্প্রদায়কে বড় নদীগুলো রক্ষা এবং বন্যা ঝুঁকি কমাতে রিয়েল-টাইম তথ্য শেয়ার করতে হবে।
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব বাড়তে থাকায় তিনি প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপের ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, পরিবর্তনের একটি সীমা আছে। বৈশ্বিক কার্বন নির্গমন কমানো না গেলে আমরা কতটুকু মানিয়ে নিতে পারব? জলবায়ু পরিবর্তন শুধু আমাদের লড়াই নয়, এটি একটি বৈশ্বিক দায়িত্ব।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক আবু বোরহান মোহাম্মদ বদরুজ্জামান। বক্তব্য রাখেন পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসান, ইনস্টিটিউট অভ্ ওয়াটার মডেলিংয়ের (আইডব্লিউএম) নির্বাহী পরিচালক এস এম মাহবুবুর রহমান, সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল অ্যান্ড জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (সিইজিআইএস) নির্বাহী পরিচালক মালিক ফিদা এ খান, ঢাকা ওয়াসার উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. মনিরুজ্জামান এবং আইসিডব্লিউএফএম ২০২৫-এর আয়োজক কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক জিএম তারেকুল ইসলাম প্রমুখ।
কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য জাপানের ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা
ঢাকা, ১১ ফাল্গুন (২৪ ফেব্রুয়ারি):
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন এর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত সাইদা শিনিচি। আজ সচিবালয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টার অফিস কক্ষে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য-বিনিয়োগ বৃদ্ধি, অভিজ্ঞতা বিনিময় ও বাণিজ্য উপদেষ্টার সাম্প্রতিক জাপান সফর নিয়ে আলোচনা হয়।
উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগ বিষয়ে জাপানের প্রতিষ্ঠিত বৃহৎ বাণিজ্য গ্রুপ NEXI (NIPPON), Mitsui, Marubeni, HSBC,Mitsubishi Heavy Industry I JT এর প্রতিনিধিদের সাথে টোকিওতে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। তাঁরা এদেশে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
জাপানকে বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন অংশীদার ও বন্ধু রাষ্ট্র উল্লেখ করে বশির উদ্দীন বলেন , বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরো শক্তিশালী করার সুযোগ রয়েছে। এ সময় আরো বেশি বিনিয়োগের মাধ্যমে এদেশে কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য জাপানের ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানান।
বাণিজ্য উপদেষ্টার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) এর চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সাম্প্রতিক জাপান সফর বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে উল্লেখ করে জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন, এতে দ্বিপাক্ষিক ব্যবসায়িক সম্পর্ক আরো জোরদার হবে। এ সময় তিনি বাংলাদেশিদের জন্য বাংলাদেশে জাপানি ভাষা শিক্ষা কর্মসূচি গ্রহণ ও এদেশ থেকে জাপানে দক্ষ জনশক্তি নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
সাক্ষাৎকালে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (মহাপরিচালক,বাণিজ্য সংগঠন) মোহাম্মদ নাভিদ শফিউল্লাহ ও অতিরিক্ত সচিব (এফটিএ) আয়েশা আক্তার উপস্থিত ছিলেন।
মাছ রপ্তানি করে আমরা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারি: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
মনপুরা (ভোলা), ১১ ফাল্গুন (২৪ ফেব্রুয়ারি):
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, আমাদের মূল কাজ হচ্ছে মাছ রক্ষা করা। মাছ রপ্তানি করে আমরা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারি। প্রবাসীরা কষ্ট করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে দেশের অর্থনীতিকে মজবুত রাখছেন। দেশের মানুষের আমিষের চাহিদা পূরণের জন্য মনপুরাবাসী যেমন বড় ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন, তেমন ইলিশ রপ্তানিতে সহযোগিতা করতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারেন।
আজ মনপুরা উপজেলার দক্ষিণ চর গোয়ালিয়া আদর্শ মৎস্যজীবী গ্রাম পরিদর্শন ও মৎস্যজীবীদের সাথে মতবিনিময় সভায় উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, আমাদের প্রথম মনে রাখতে হবে বাংলাদেশ পৃথিবীতে পরিচিতি পেয়েছে মাছের জন্য ; বিশেষকরে ইলিশের জন্য। পৃথিবীতে কোনো দেশে এ রকম ইলিশ পাওয়া যায় না, আবার যদি পাওয়াও যায় তা আবার বাংলাদেশের ইলিশের মতো স্বাদের হয় না। তিনি বলেন, মাছকে প্রাকৃতিকভাবে ডিম পাড়তে দেওয়া, বড় হতে দেওয়ার জন্য মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। এ সময় আমাদের কথা জেলেরা শোনেন কিন্তু ব্যবসায়ীরা আইন ভঙ্গ করে আপনাদের এ সময় মাছ ধরতে উৎসাহিত করে থাকেন। কাজেই এ ধরনের খারাপ কাজ যেন কেউ না করতে পারে সে লক্ষ্যে কোস্টগার্ড, নৌ-পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে।
মনপুরার জেলেদের উদ্দেশ্যে ফরিদা আখতার বলেন, আপনাদের সাথে একসাথে কাজ করতে পারলে পরিবর্তন আনা সম্ভব। মৎস্য কর্মকর্তারা আপনাদের সমস্যা ও সম্ভবনা নিয়ে কথা বলে থাকেন এমনকি ঢাকাতেও এ বিষয়ে কথা হয়ে থাকে। তারা যতোই বলুক সরাসরি আপনাদের মুখ থেকে শোনা আর অন্যভাবে শোনার মধ্যে পার্থক্য রয়েছে বলেই আপনাদের কাছে আসা।
উপদেষ্টা বলেন, জেলেদের শুধু ঘূর্ণি ঝড়ের বার্তা দিলে হবে না তাদের রক্ষা করা আমাদের দায়ি়ত্ব। জেলেদের রক্ষায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় হতে লাইফ জ্যাকেট, লাইফ বয়া, টর্চ লাইট সরবরাহ করা হবে। তিনি আরো বলেন, শুধু মাছ ধরা নয়, আপনাদের কৃষি কাজ, হাঁস-মুরগী, গরু-ছাগল পালনের প্রতি মনোযোগী হতে হবে। এর মাধ্যমে আপনারা অর্থনৈতিকভাবে আরো স্বাবলম্বী হতে পারেন।
পরে উপদেষ্টা ৮০ জন জেলেদের মধ্যে লাইফ জ্যাকেট, লাইভ বয়া ও টর্চ লাইট বিতরণ করেন। মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান সুরাইয়া আখতার জাহান, মৎস্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক জিয়া হায়দার চৌধুরী, মৎস্য অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগীয় উপপরিচালক নৃপেন্দ্র নাথ বিশ্বাস, মৎস্য অধিদপ্তরের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, মনপুরা উপজেলার চর গোয়ালিয়া আদর্শ মৎস্যজীবী গ্রামের মৎস্যজীবীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বিগত সময়ে দেশের অর্থনীতিতে দূর্বৃত্তায়ন হয়েছে: বাণিজ্য উপদেষ্টা
ঢাকা, ১১ ফাল্গুন (২৪ ফেব্রুয়ারি):
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, বিগত সময়ে দেশের সমগ্র অর্থনীতিতে দূর্বৃত্তায়ন হয়েছে। অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প ও অর্থপাচার দেশের অর্থনীতির ব্যাপক ক্ষতি করেছে।
উপদেষ্টা আজ রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে ইনে সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি) আয়োজিত দু’দিনব্যাপী ‘অর্থনীতির পুনর্বিন্যাস বিষয়ক টাস্ক ফোর্সের সুপারিশ’ সংক্রান্ত সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ব্যাংকিং সেক্টরসহ বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণে দূর্বৃত্তায়ন হয়েছে। অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে বর্তমান সরকারকে রফতানি পণ্যের বহুমুখীকরণ এবং শ্রমিকদের দক্ষতা বাড়াতে হবে। তিনি আরো বলেন, দেশে বেশিরভাগ কাঁচামাল বিদেশ থেকে আসে। উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, পণ্যের উৎপাদন ব্যয় কমানো ও দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে রফতানি বাড়াতে উদ্যোগ নিতে হবে।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ডিভেলপমেন্ট স্টাডিজের (বিআইডিএস) সাবেক ডাইরেক্টর জেনারেল ও অর্থনৈতিক কৌশল পুনর্নির্ধারণে গঠিত টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান কেএএস মুরশিদের সভাপতিত্বে সিপিডির চেয়ারম্যান অধ্যাপক রেহমান সোবহান, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক বাণিজ্য মন্ত্রী আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সিপিডির সম্মানিত ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান, নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন ও বিডিজবসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ কে এম ফাহিম মাশরুর অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন।
জনগণের সেবা করা অত্যন্ত গৌরবের :ধর্ম উপদেষ্টা
সাতকানিয়া (চট্টগ্রাম), ১১ ফাল্গুন (২৪ ফেব্রুয়ারি):
ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, জনগণের সেবা করা অত্যন্ত গৌরবের। এটি সওয়াবেরও কাজ।
উপদেষ্টা আজ চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার মাদার্শা ইউনিয়নের বাবুনগর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। নুরে হাবিব ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন এ মেডিকেল ক্যাম্প আয়োজন করে।
নুরে হাবিব ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সাঈদ আহসান খালিদের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মোঃ সাইদুর রহমান।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল। একারণে স্বাস্থ্য ভালো রাখাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সুষম খাদ্যাভ্যাস, স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ ও নিয়মমাফিক জীবনযাপনের মাধ্যমে আমরা খুব সহজেই নিজেদেরকে সুস্থ ও নীরোগ রাখতে পারি। তিনি এলাকাবাসীর স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে সরকারি ব্যবস্থাপনায় বাবুনগরে একটি মেডিকেল সেন্টার স্থাপনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব বলেন, স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা প্রয়োজন। আমাদের দৈনন্দিন জীবনযাপনে কায়িক পরিশ্রম করতে হবে। আমাদের সন্তানদেরকে খেলাধূলায় অংশগ্রহণে উৎসাহ দিতে হবে। নিয়মিত হাঁটার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। তিনি পরিবারের বয়োবৃদ্ধ সদস্যদের স্বাস্থ্যের প্রতি বিশেষ খেয়াল রাখার জন্য সকলকে অনুরোধ জানান।
দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত এ মেডিকেল ক্যাম্পে বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা ও ঔষধ বিতরণ করা হয়। এতে মেডিসিন, হৃদরোগ, গাইনি, ইএনটি, গ্যাস্ট্রো-এন্ট্রো, অর্থপেডিকস, চক্ষু, দন্ত, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন বিষয়ে ৪৮জন বিশেষজ্ঞসহ মোট ৮৫ জন ডাক্তার স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করেন। এ মেডিকেল ক্যাম্প হতে সংশ্লিষ্ট এলাকার প্রায় ২ হাজার ৫০০ জন স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ করে।
এ অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চট্টগ্রামের বিভাগীয় পরিচালক ডা. অং সুই প্রূ মারমা, চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন, সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিল্টন বিশ্বাস, নুরে হাবিব ফাউন্ডেশনের মহাসচিব নাঈম আহসান তালহা প্রমুখ বক্তৃতা করেন।
জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবসে প্রধান উপদেষ্টার বাণী
ঢাকা, ১১ ফাল্গুন (২৪ ফেব্রুয়ারি) :
প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস ‘জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস’ উপলক্ষ্যে বাণী প্রদান করেছেন:
“আজ ২৫ ফেব্রুয়ারি দেশব্যাপী ‘জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস-২০২৫’ উদ্যাপন করা হচ্ছে জেনে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। এই দিনে আমি স্থানীয় সরকার বিভাগ ও স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহের সকল সদস্য এবং এদেশের আপামর জনগণকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। দিবসটি যথাযথভাবে প্রতিপালনের মাধ্যমে স্থানীয় সরকারের সকল প্রতিষ্ঠান কর্তৃক জনবান্ধব সেবা ও কল্যাণের নতুন দ্বার উন্মোচিত হবে বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।
স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহের অংশীজনদের একটা বড় অংশ এদেশের তরুণ সমাজ। এ সকল প্রতিষ্ঠানের বহুমাত্রিক উন্নয়ন ও সেবাধর্মী কার্যক্রমে তরুণ প্রজন্মের আশা-আকাঙ্ক্ষার যথাযথ প্রতিফলনের মাধ্যমে আলোকিত জাতি গঠন করা সম্ভব। জুলাই-আগস্ট মাসের ছাত্র-শ্রমিক-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে একটি বৈষম্যহীন ও দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার যে স্বপ্ন বাংলাদেশের মানুষ দেখেছে তা বাস্তবায়নে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ। এই অঙ্গীকার পালনে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহের ভূমিকা অপরিসীম।
আমাদের সবচেয়ে বড় সম্পদ দেশের জনগণ। গণ-অভ্যুত্থানে শহিদের রক্তের মাধ্যমে অর্জিত নতুন বাংলাদেশে বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রমে জনগণকে আরো সম্পৃক্ত করতে হবে। স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহকে আরো উন্নত ও শক্তিশালী করতে এবং জুলাই বিপ্লবের পূর্ণ সুফল জনগণের নিকট পৌঁছে দিতে আমরা বদ্ধপরিকর।
নতুন দেশ গড়ার প্রত্যয়কে সামনে রেখে ‘জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস-২০২৫’ এর উদ্যাপন সকলকে আরো উজ্জীবিত করবে বলে আমি বিশ্বাস করি। এ দিবস উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সফলতা কামনা করি।”