Home Bangla News এক নজরে বাংলাদেশ

এক নজরে বাংলাদেশ

0

এসিআই লিমিটেডের লভ্যাংশের প্রায় ১ কোটি ৩৯ লাখ টাকা শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে প্রদান 

ঢাকা, ১৯ ফাল্গুন (৪ মার্চ):    

  শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, এসিআই লিমিটেড কর্তৃক বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ (সংশোধিত ২০১৮) অনুযায়ী কোম্পানির বাৎসরিক লভ্যাংশের ০.৫% হারে ১ কোটি ৩৯ লাখ ৬৩ হাজার ৬৯৭ টাকার চেক শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে হস্তান্তর করা হয়। এসিআই অনেক বড় ও আন্তর্জাতিক মানের প্রতিষ্ঠান। তাদের প্রদানকৃত অর্থ শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের তহবিলে জমা হবে। বাংলাদেশের সকল অঞ্চল ও স্তরের প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক শ্রমিক ও শ্রমিকের পরিবারের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে এ অর্থ ব্যয় হবে।  

  উপদেষ্টা আজ বাংলাদেশ সচিবালয়ে চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে বলেন, এ টাকা বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের কাছে এক ধরনের আমানত। এ ধরনের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানসমূহ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে মুনাফার নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ শ্রম আইন অনুযায়ী প্রদান করতে উৎসাহিত হবে। অনেক বড় প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন গ্রুপ অব কোম্পানিসমূহ তাদের লভ্যাংশের অর্থ ফাউন্ডেশনে জমা দিবে। 

          উপদেষ্টা আরো বলেন, এই তহবিলের অর্থ দুস্থ শ্রমিক, মৃত শ্রমিকদের অনুদান, ছাত্র বৃত্তি এবং শ্রমিকদের জরুরি চিকিৎসায় ব্যয় করা হবে।  

  চেক হস্তান্তরকালে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ ইউসুফ, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান, শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক মো. মুনির হোসেন খান, এসিআই লিমিটেড প্রতিনিধিবৃন্দসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার গণমাধ্যমকর্মী উপস্থিত ছিলেন। 

পতেঙ্গায় মব তৈরি করে পুলিশকে মারধরের ঘটনায় জড়িত সবাই আটক 

ঢাকা, ১৯ ফাল্গুন (৪ মার্চ):    

চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গা আউটার রিং রোডে ২৮ ফেব্রুয়ারি মব তৈরি করে চেকপোস্টে দায়িত্বরত পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইউসুফ আলীকে মারধরের ঘটনায় জড়িত ১২ জনকে আটক করেছে পুলিশ।   

ঘটনার দিন জনতা মব সৃষ্টিকারী দু’জনকে তৎক্ষণাৎ পুলিশে সোপর্দ করে। এর আগে খবর পেয়ে সৈকত এলাকায় টহলরত পতেঙ্গা থানা পুলিশের একটি দল ও আশপাশের লোকজন এসে উপ-পরিদর্শক ইউসুফ আলীকে উদ্ধার করেন। গত শনিবার পুলিশ রাতভর অভিযান চালিয়ে এ ঘটনায় জড়িত আরো ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে।  

উল্লেখ্য, পুলিশকে হেনস্থার ঘটনায় পতেঙ্গা থানায় দ্রুত বিচার আইনে একটি মামলা দায়ের হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা পতেঙ্গা সী-বিচে ত্রাস সৃষ্টি করে এসআই ইউসুফ আলীকে হেনস্তাসহ মোবাইল ফোন, মানিব্যাগ এবং ওয়াকিটকি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় জড়িত।  

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ মর্মে সবাইকে সতর্ক করছে যে, কেউ যেন আইন নিজের হাতে তুলে না নেয়। মবের প্রতিটি ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় এনে বিচার করতে সরকার বদ্ধপরিকর। 

দুর্ঘটনায় নিহত ছয় নৌশ্রমিকের পরিবারকে ৩০ লাখ টাকা প্রদান  

ঢাকা, ১৯ ফাল্গুন (৪ মার্চ):    

নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন চাঁদপুর হাইমচর উপজেলায় মেঘনা নদীতে গত বছর ২৩ ডিসেম্বর এম ভি আল-বাখেরা নামক সারবাহী নৌযানে সংঘটিত দুর্ঘটনায় নিহত ছয় জন শ্রমিকের পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতার চেক প্রদান করেছেন । 

উপদেষ্টা আজ ঢাকায় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে  নিহত শ্রমিকদের প্রত্যেক পরিবারকে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন থেকে দুই লাখ টাকা এবং নৌপরিবহন উপদেষ্টার বিশেষ উদ্যোগে নৌপরিবহন অধিদপ্তরের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান নোয়াপাড়া গ্রুপ থেকে তিন লাখ টাকার চেক তুলে দেন। 

চেক বিতরণকালে উপদেষ্টা বলেন, এম ভি আল-বাখেরা সারবাহী নৌযানে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। এটিকে হালকাভাবে দেখার কোনো সুযোগ নেই। তিনি নির্মম এ হত্যাকাণ্ডে নিহত শ্রমিকের প্রত্যেক পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। এসময় তিনি ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের মধ্যে উপযুক্ত ব্যক্তিকে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদানের নির্দেশনাও প্রদান করেন। 

পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষ্যে নৌপথে পণ্য সরবরাহ নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, মাদার ভেসেল হতে পণ্য খালাস ও পরিবহনের ক্ষেত্রে বর্তমানে লাইটার জাহাজের কোনো সংকট নেই। কিছু আমদানিকারক লাইটার জাহাজগুলোকে ভাসমান গুদাম বা ফ্লোটিং ওয়ার হাউস হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে, এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে নৌপরিবহন অধিদপ্তর এবং বিআইডব্লিউটিএ এর ম্যাজিস্ট্রেটরা গত মাসের ১৯ তারিখ থেকে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছে।    যার পরিপ্রেক্ষিতে অনেককে জরিমানা করা হয়েছে। কোথাও পণ্য মজুতের সুযোগ নেই। বিষয়টি আমরা কঠোরভাবে দেখছি। পর্যাপ্ত পরিমাণে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী আমদানি হচ্ছে। সরকার দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আন্তরিকতার সাথে কাজ করছে। ভোজ্য তেলের বিষয়টিও সরকার গুরুত্বের সাথে দেখছে। পণ্য সরবরাহে কোনো ঘাটতি নেই।  

নৌযান দুর্ঘটনায় নিহত শ্রমিকেরা হলেন, মাগুরার মহম্মদপুরের দাউদ হোসেনের ছেলে সজিবুল ইসলাম ও মোঃ আনিচ মিয়ার ছেলে মোঃ মাজিদুল ইসলাম, নড়াইল লোহাগড়ার মোঃ আবেদ মোল্ল্যার ছেলে মোঃ সালাউদ্দিন মিয়া ও মজিবর মুন্সীর ছেলে আমিনুর মুন্সী এবং ফরিদপুর সদরের মোঃ আতাউর রহমানের ছেলে শেখ সবুজ ও মোঃ আনিসুর রহমানের ছেলে মোঃ কিবরিয়া। 

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ ইউসুফ ও নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here