Home Bangla News অস্থিতিশীলতা সৃষ্টিকারীদের আইনের আওতায় আনা ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ এর লক্ষ্য : স্বরাষ্ট্র...

অস্থিতিশীলতা সৃষ্টিকারীদের আইনের আওতায় আনা ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ এর লক্ষ্য : স্বরাষ্ট্র সচিব

0

ঢাকা ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫:

যারা দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে তাদেরকে আটক করে আইনের আওতায় আনা ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’-এর মূল লক্ষ্য বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি।

আজ দুপুরে বাংলাদেশ সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ সম্পর্কে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সিনিয়র সচিব এ মন্তব্য করেন।  

সিনিয়র সচিব বলেন, ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’-এ মূলত পুলিশ বাহিনী নেতৃত্ব দিচ্ছে; সেনাবাহিনী তাদের সাহায্য করছে। তিনি বলেন, ছয় মাস আগে ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে স্বৈরাচারী সরকারের পতনের পর দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সারাদেশে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়৷ সেসময় আমাদের পুলিশ বাহিনীর বেশকিছু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তাদের নীতিগত ও মানসিক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, থানা পুড়ে গেছে, যে কারণে ‘ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার’ সারাদেশে সেনা মোতায়েন রয়েছে। তিনি আরো বলেন, এই পরিস্থিতিতে কাজ করতে গিয়ে আমরা অনেকগুলো পরিকল্পনা নিই৷ এর অনেকগুলো চলমান আছে এবং অনেকগুলো প্রয়োগ করতে যাচ্ছি। তার একটা ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’।

নাসিমুল গনি বলেন, এই অপারেশন যৌথভাবে ফোকাসড ওয়েতে কাজ করবে। দেশকে অস্থিতিশীল করার যে চেষ্টা হচ্ছে সেটাকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য এই অপারেশন চলবে। এর জন্য আইনানুগ পদ্ধতিতে যে সকল ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন সেটা নেওয়া হবে। সেটার জন্য সকল বাহিনীকে প্রস্তুত ও ব্রিফিং করা হয়েছে। একইসাথে তাদের কাজ চলমান রয়েছে।  

স্বরাষ্ট্র সচিব বলেন, আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে আগে যেভাবে আইন প্রয়োগ করা হতো আমরা সেভাবে হাঁটতে পারবো না৷ আইনের স্পিরিট নিয়ে কাজটা করতে হবে৷ মানবাধিকার এবং পরিবেশের বিষয়টি মাথায় রেখে আমরা একটি ভালো সিস্টেম গড়ে তুলতে চাই। আমরা চাই, আর কোনো আয়নাঘর তৈরি না হয়। আগামীর জন্য যেন ভালো পরিবেশ রেখে যেতে পারি, আমরা সেই চেষ্টাই করছি। এই প্রেক্ষিতে আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি মানবাধিকার ও পরিবেশের ওপর গুরুত্ব দিয়ে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার সাথে একটি কর্মশালার আয়োজন করা হচ্ছে।

পুলিশ বাহিনীর বর্তমান অবস্থা নিয়ে নাসিমুল গনি বলেন, পৃথিবীর যেসব দেশে বিপ্লব হয়েছে, সেসব দেশ পরাজিত শক্তিকে রাখেনি। কিন্তু আমরা অতটা অমানবিক হতে পারিনি। তিনি বলেন, আমরা বাহিনীটিকে সংস্কার করতে চেয়েছি। পুলিশের কেউ ভয়ে এবং চাপে পড়ে অন্যায় করেছে। কিছু যারা ডাই-হার্ড ছিল, তারা পালিয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, একটা বাহিনীর মনোবল ভেঙে গেছে ৷ পুলিশে সত্যিকার অর্থে সংস্কার আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। পুলিশ যাতে মনোবল ফিরে পায় সেজন্য তাদের সক্রিয়ভাবে কাউন্সেলিং করা হচ্ছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here